NB.1.8.1 – নতুন Omicron-ডেরাইভেড সাব-ভ্যারিয়েন্ট

  • এটি জানুয়ারি ২০২৫ থেকে শনাক্ত হতে শুরু করে ও WHO ২৩ মে ২০২৫–তে “Variant Under Monitoring (VUM)” হিসেবে যোগ করেছে ।
  • এপ্রিল-মে ২০২৫ সালে GISAID–এ দাখিল হওয়া সিকোয়েন্সের ১০.৭% NB.1.8.1 ছিল — এপ্রিলের ২.৫% থেকে দ্রুত বেড়েছে ।
  • মিলেছে ২২টি দেশে, যার মধ্যে ইউএস, ইউকে, ইউরোপ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও হংকং রয়েছে ।

বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব

  • ভাইরাসে কিছু স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন (যেমন V445H, T478I) রয়েছে, যা মানব ACE2 রিসেপ্টরে সংযুক্তিতে সহায়তা করে — যার ফলে ঠোঁটের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি who.int
  • WHO এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা বলছে: “এটি পুরোনো ভ্যারিয়েন্টগুলো তুলনায় বেশি ছড়াতে পারে”।
  • তবে: বর্তমানে এটি অধিক মারাত্মক বা হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো নয় ।

উপসর্গ

  • সাধারণ: জ্বর, গলা ব্যথা, চামড়া—জনিত ক্লান্তি, শ্বাস উৎকণ্ঠা, গন্ধ/রুচি হারান ।
  • অপ্রচলিত: পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, হার্টবার্ন — যে উপদ্রুত, তা “অস্বাভাবিক উপসর্গ” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।

XFG সাব-ভ্যারিয়েন্ট

  • ভারত ও বিশেষ করে ভারতীয় রাজ্যগুলোতে XFG শনাক্ত হয়েছে; বর্তমানে ভারতে মোট ১৬৩টি সিকোয়েন্স পাওয়া গেছে, যার মধ্যে গুজরাতে ১১টি ।
  • গোটা গুজরাতেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে ১১০০–এর ওপরে পৌঁছেছে, যদিও সেসব “সামান্য” উপসর্গ যুক্ত ।

বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে: গত ২৪ ঘন্টায় ৩-৪ জন নতুন শনাক্ত, তবে মৃতের সংখ্যা খুবই কম ।
  • শনাক্তকৃত নমুনায় XFG ও XFC ভাইরাসের প্রয়োজনীয় সাব-ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে, এছাড়াও NB.1.8.1–এর সম্ভাব্য আগমনের আশঙ্কা ।
  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসমাগমে মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে, এবং নতুন টিকা খরচে কাজ করছে — তবে টিকার পরিমাণ সীমিত ।